চট্টগ্রাম সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৮ দশমিক ০২ শতাংশ।চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজ পাঠানো রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, নগরীর ছয় ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২১ জন ও চার উপজেলার ১০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৭ জন, মিরসরাই, আনোয়ারা ও চন্দনাইশে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৯ হাজার ২২৬ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৪ হাজার ২২০ জন ও গ্রামের ৩৫ হাজার ৬ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৮ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৯ নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ২ টি করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩ নমুনায় গ্রামের একটিতে করোনাভাইরাসে মিলে।বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের একজন করে আক্রান্ত পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩০ নমুনার মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে পরীক্ষিত ৪ নমুনার একটিতেও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১১ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৫ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয়, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২১ দশমিক ২১, চমেকহা’য় ২৬ দশমিক ৩১, আরটিআরএলে ০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩ দশমিক ৩৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩০ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।