সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন শুনানিতে দু’পক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলে এজলাস ছেড়েছেন বিচারক। বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের সামনে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
বেলা ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানিতে এই ঘটনা ঘটে। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এজলাসে ওঠার পরই দু’পক্ষের হট্টগোল শুরু হয়। এমন ঘটনার পরে এজলাস ছাড়েন তিনি। পরে দুপুর আড়াইটায় শুনানির সময় নির্ধারণ করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেরেনুর আলী বলেন, বিচারক এজলাসে আসার পরে দু’পক্ষেরই হট্টগোল হয়েছে। আমরা বলেছি, এই মামলাটা আদালতে অস্বাভাবিকভাবে আনা হয়েছে। গতকাল বিকেলে সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন মিত্রের আদালত থেকে সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের মামলাটি (মিস কেইস) বদলি করে জেলা দায়রা জজে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী এই মামলা চলতি মাসের ১৪-১৫ তারিখ শুনানির কথা। হঠাৎ করে আদালতে এসে শুনি জামিন শুনানি আজ। এই বিষয়ে আমরা বাদীপক্ষ জানি না। এ নিয়ে আজকে শুনানি করতে চাই না। অন্যান্য মামলার মতো এই মামলার শুনানির তারিখ পরবর্তীতে দেওয়ার জন্য আদালতকে বলেছি। কিন্তু আদালত আমাদের কথা শুনতে চাননি। আসামিপক্ষ শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য তোড়জোর করেছে। এটি নিয়ে হট্টগোল হয়েছে। পরে ‘আদালত’ এজলাস থেকে নেমে গেছেন।
আইনজীবী আব্দুল হক বলেন, আমরা জানি না যে আজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রীর জামিন শুনানি। আমরা আদালতকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করার সময় মন্ত্রীর পক্ষের আইনজীবীরা তর্ক শুরু করে দেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হলে এজলাস ছেড়ে চলে যান বিচারক। পরে জানানো হয় ২টা ৩০ মিনিটে আবারও শুনানি হবে। কিন্তু সেই শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত থাকবেন কি না পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে ৯৯ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন। মূলত এই মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।