বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
No menu items!
Call for ad
Homeঅন্যান্যএবার প্রেমের টানে মিশরের তরুণী নোয়াখালীতে

এবার প্রেমের টানে মিশরের তরুণী নোয়াখালীতে

প্রেমের টানে বাংলাদেশি যুবক গোলাম সারোয়ার বাবুকে (২৬) বিয়ে করে সুদূর মিশর থেকে বাংলাদেশে এসেছেন মিশরীয় তরুণী ডালিয়া (২৬)। নোয়াখালীতে এসে সংসার শুরু করেছেন স্বামী বাবুর সঙ্গে। এ দিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণায় মুখরিত তাদের বাড়ি।গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই দম্পতি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে আসেন। ২০২০ সালের মিশরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর এই প্রথম দম্পতি প্রথম বাংলাদেশে আসেন।গোলাম সারোয়ার বাবু জানান, তিনি ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিশর যান। সেখানে তিনি একটি গামেন্টে কোম্পানিতে চাকরি করেন। মিশরী তরুণী ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতেন তিনি। তার ভাইয়ের সঙ্গে গোলাম সরোয়ারের ভালো বন্ধুত্ব ছিল। এ সুবোধে মাঝে মধ্যে ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল তার। এক সময় বাবু ডালিয়াকে তার ভালো লাগার বিষয়টি জানায়। এতে ডালিয়া সাই দিলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইন কানুন মেনে গোলাম সরোয়ার মিশরে পারিবারিক ভাবে ডালিয়াকে বিয়ে করেন।গোলাম সরোয়ার আরও জানান, গত বছর তাদের একটি বাচ্চা হয়। পরে সে মারা যায়। এরপর এই প্রথম দুজনের এক সাথে বাংলাদেশে আসা হয়। বর্তমানে তারা সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান তিনি।মিশরীয় তরুণী ডালিয়া, বাংলা বলতে না পারলেও মিশরী ভাষায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মিশরী ভাষা বাংলা অনুবাদ হিসেবে তার স্বামীর বাবু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালবেসেছেন। তবে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পছন্দ বলেও মন্তব্য করেন এ বিদেশি তরুণী। তবে কারো সাথে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুর বাড়িতে দুই মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন।গোলাম সরোয়ার বাবুর পিতা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারায় ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধূ কে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত।নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, বিদেশি পুত্রবধূকে দেখার জন্য শত শত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছে। গ্রামের মানুষ এতে খুশি। ছেলে-পুত্রবধূর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

এইরকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপণ -
advertise

সর্বাধিক পঠিত