আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে কারাবরণের আশঙ্কা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন শঙ্কার কথা বলেন।বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের লেখা ‘নব্বইয়ে’র গণঅভ্যুত্থান ও কিছু কথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য নেতারা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার।মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এটা বললে তাদের গা জ্বালা করে। নির্বাচন তো আমরা চাই, আমরা তো বিশ্বাস করি, নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এটা বিশ্বাস করে যারা তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচন যদি দলীয় সরকারের অধীনে হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যদি সেটা আবার আওয়ামী লীগের অধীনে হয়। তা তো কখনোই সুষ্ঠু হবে না।বিচারবিভাগে নেতাকর্মীদের হয়রানি দেখতে দেশের বুদ্ধিজীবী ও সম্পাদকদের কোর্টের বারান্দায় যাওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, গিয়ে দেখুন, কীভাবে নেতাকর্মীরা হাজিরা দেয়, কত সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা যাচ্ছে। বলেন তো দেশে গণতন্ত্র আছে! এমন বিচার ব্যবস্থা, যদি হাইকোর্টে জামিন দেয়, সেটা আবার নিম্ন আদালতে আটকে দেয়।
তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় একটি সেল তৈরি করেছে, সেখানে অতিদ্রুত রায় দিয়ে সাজা দেওয়া যায়। যারা দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে তাদের সবাইকে এক কাতারে শামিল হয়ে আদালতে যেতে হচ্ছে।মির্জা ফখরুল আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার মামলায় ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আমার ধারণা, আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে আমানের (ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান) মতো আমাকেও চলে যেতে হবে ভেতরে। অর্থাৎ তাদের (সরকার) উদ্দেশ্যটা অত্যন্ত পরিষ্কার। যারা এই সরকারের বিরোধিতা করছে, যারা এই সরকারের পক্ষে নয়, যারা এই সরকারকে বলছে- তুমি অনেক খারাপ কাজ করেছ, তুমি সরে যাও- তাদের সবাইকে তারা কারাগারে ঢোকাতে চায় এবং এই লক্ষ্যে তারা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।ডাকসুর সা্বেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় নব্বইয়ের ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান, জিএস খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ফজলুল হক মিলন, খন্দকার লুতফুর রহমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আসাদুর রহমান খান আসাদ ও কামরুজ্জামান রতন বক্তব্য রাখেন।