ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া মুসলিম নেতা মুক্তাদা আল-সদর রাজনীতি ছেড়ে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই নিয়ে বাগদাদে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী ও মুক্তাদার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি, রয়টার্স। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার (২৯ আগস্ট) এই ঘোষণা দেওয়ার পর মুক্তাদা আল-সদরের অনুগত বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে হামলা চালায়। এতে আরও ডজন খানেক মানুষ আহত হয়েছে।ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আরও কয়েকটি শহরে সহিংসতার পর সেনাবাহিনী দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত নামার পর মেশিনগানের গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ট্রেসারের আলোয় বাগদাদের গ্রিন জোনের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এই গ্রিন জোনেই ইরাকের মন্ত্রণালয়গুলোর সদরদপ্তর ও বিদেশি দূতাবাসগুলোর অবস্থান। এ রাতে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক লড়াই প্রত্যক্ষ করে ইরাকের রাজধানী।নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, কিছু সহিংসতা মুক্তাদার অনুগত একটি মিলিশিয়া শান্তি ব্রিগেড ও ইরাকি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে কিছু যোদ্ধাকে রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) সহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে।ফরাসি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তাদার ১৫ জন সমর্থককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৩৫০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। দেশটির চিকিৎসকরা এই তথ্য জানিয়েছে।দেশটির এই অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহব্বান জানিয়েছে। এছাড়া আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের কারণের যে কারফিউ জারি করা হয়েছে এই নিয়ে দেশজুড়ে সরকারি কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইরাকি সংবাদ সংস্থা আইএনএ’র বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ইরাক ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।