ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ হাসিনা হলে নবীন ছাত্রী ফুলপরী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।সোমবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এর আগে ১৫ জুলাই উপাচার্যের কার্যালয়ে ২০২ নম্বর রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নবীন ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে উপাচার্যের বাসভবনে ২৬০তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে আমাদের ২৬০তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বহিষ্কৃতরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী। অন্তরা বাদে অপর চারজন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। ভুক্তভোগী ফুলপরীর ভাষ্য, সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তাকে নির্যাতন করেন। এসময় তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিওধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।