খারকিভে সামরিক অভিযানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করছে ইউক্রেন। শহরগুলো পুনরুদ্ধার করার এ ঘটনা রাশিয়াকে বিস্মিত করেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।দৈনিক তথ্যবিবরণীতে তারা জানিয়েছে, কিয়েভের বাহিনী পূর্বে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) অগ্রসর হয়েছে।তাদের দাবি, এই হামলার ফলে মস্কোর হাজার হাজার সৈন্য ইজিয়ামের শহরের কাছে ‘ক্রমবর্ধমানভাবে বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়েছে। খবর বিবিসির।শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন খারকিভ অঞ্চলে ৩০টি বসতি পুনর্দখল করেছে।
কিয়েভ থেকে তার রাত্রিকালীন ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, তার বাহিনী ‘ধীরে ধীরে নতুন বসতির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে’ এবং ‘ইউক্রেনের পতাকা ও আমাদের জনগণের সুরক্ষা ফিরিয়ে আনেছে।
ইউক্রেন গত সপ্তাহের শুরুতে পাল্টা আক্রমণ শুরুর দাবি করেছিল। সামরিক অভিযানে খারকিভের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর বিচ্ছিন্ন করার দাবিও করেছে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু পশ্চিমারা ইজিয়ামের আশেপাশের এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর তেমন কোনো অবস্থান খুঁজে পায়নি।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনীয় সেনাদের আক্রমণাত্মক অভিযানগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। এতে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে এবং তারা যতটুকু অগ্রগতি অর্জন করেছে তাও নিরাপদ নয়। ইউক্রেনের অগ্রগতির সমস্ত দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি, ইউক্রেনের পূর্ব এবং দক্ষিণ উভয় অঞ্চলে লড়াইয়ের অবস্থা সম্পর্কে অনেক কিছুই অনিশ্চয়তার মধ্যে ছেয়ে গেছে, কারণ কিয়েভের সরকার একটি মিডিয়া ব্ল্যাকআউট প্রয়োগ করে যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ করেছে।শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খারকিভ অঞ্চলকে শক্তিশালী করার জন্য সেনা সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।