মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
No menu items!
Call for ad
Homeআন্তর্জাতিকআজারবাইজানের অভিযান : নাগোরনো-কারাবাখে নিহত ২০০

আজারবাইজানের অভিযান : নাগোরনো-কারাবাখে নিহত ২০০

আজারবাইজানের বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সামরিক অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। এছাড়া অভিযানে আহত হয়েছেন আরও ৪০০ জনের বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে বোসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।বুধবার বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনিয়ান মানবাধিকার বিষয়ক ওই কর্মকর্তা গেঘাম স্টেপানিয়ান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এনডিটিভির।আগে টুইটার নামে পরিচিত সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন ওই অঞ্চলে আজারবাইজান হামলায় কমপক্ষে ২০০ জন নিহত এবং আরও ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।’নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন যাদের মধ্যে পাঁচজন শিশু বলে স্টেপানিয়ান দাবি করেছেন।অন্যদিকে সামরিক অভিযানের সময় আজারি সেনাদের হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি আজারবাইজান। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বুধবার সন্ধ্যায় বলেছেন, নাগোরনো-কারাবাখে সামরিক অভিযান চালানোর সময় তাদের কিছু সৈন্য নিহত এবং অন্য আরও কিছু সেনা আহত হয়েছেন।এদিকে নাগোরনো-কারাবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ এবং অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে। বিতর্কিত এই ভূখণ্ডের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাকুর সামরিক অভিযান শুরু করার ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার আর্মেনীয় ও আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী চুক্তিতে রাজি হয়।উভয় দেশই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে; যা বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে কার্যকর হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নাগোরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীকে নিরস্ত্র এবং ভেঙে দেওয়া হবে।

মূলত আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতিগত আর্মেনীয় ছিটমহল নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে কয়েক মাস ধরে দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি বিতর্কিত ওই ভূখণ্ডে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য এক ঘটনায় আজারবাইজানের ১১ পুলিশ সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।আর আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ওই অঞ্চলে গত মঙ্গলবার আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর অভিযান পরিচালনার খবর পাওয়া যায়।বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত রয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধের পর থেকে আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।ইতোমধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া অন্তত দুবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবার যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি।

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আজারবাইজান-আর্মেনিয়া। আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর ২৪ ঘণ্টার মাথায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে নাগোরনো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার শান্তিরক্ষা মিশনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে তারা। নাগোরনো-কারাবাখে অবস্থিত রুশ শান্তিরক্ষা মিশনের কমান্ডের মধ্যস্থতায় গতকাল দুপুর ১টা থেকে সামরিক অভিযান সম্পূর্ণ বন্ধের বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছেছে আজারবাইজান। আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আজারবাইজানের অংশ। তবে সেখানে বসবাস করে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী জাতিগত আর্মেনিয়ানরা। আজারবাইজানের অভিযোগ প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়ার সহযোগিতা নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে নিজেদের সংগঠিত করছিল সেখানকার বাসিন্দারা।

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত রয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধের পর থেকে আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।ইতোমধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া অন্তত দু’বার যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবার যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি।সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এ দুই রাষ্ট্র বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ২০২০ সালে ফের প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের সেনাদের হামলা-পাল্টা হামলায় সেই যুদ্ধে উভয়পক্ষের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।এদিকে কারাবাখ অঞ্চলের অন্য কোনো মর্যাদা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, আজারবাইজানীয়দের ভূখণ্ড কারাবাখ। এ কথা সবাই জানে।

এইরকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপণ -
advertise

সর্বাধিক পঠিত