ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার তদন্ত করতে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল ইতোমধ্যে ঢাকা সফর শেষ করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন দপ্তর জানায়, জাতিসংঘের একটি দল ২২-২৯ আগস্ট বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ছাত্রনেতাদের সাথে বৈঠক করেছে, যাদের অনেকেই আটক বা আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
বৈঠকগুলোতে দলটি অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধ অনুযায়ী সাম্প্রতিক সহিংসতা, অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপব্যবহারের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছে। দলটির আলোচনার মধ্যে ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ, সংস্কার ইত্যাদি প্রক্রিয়ার অন্য পদ্ধতিগুলোও রয়েছে- যেখানে মানবাধিকার কমিশন দপ্তর টেকসই সহায়তা দিতে পারে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সত্য অনুসন্ধান মিশন পরিচালনা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
বিক্ষোভের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপব্যবহারের প্রতিবেদন, মূল কারণ বিশ্লেষণ, ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল সফর যাবে। দলটি এ কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
হাইকমিশনার জোরপূর্বক গুম হওয়া থেকে সবার সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানের ঘোষণা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের হদিস নির্ধারণের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।