সিলেটে চা শ্রমিকরা সপ্তাহে ১০ কেজি নয়, আটা পান আড়াই কেজি। আর শ্রমিকপ্রতি দৈনিক সাড়ে ৭ টাকা খরচের দাবিও ঠিক নয়। এছাড়া তাদের সব রোগের ওষুধ একটাই ‘প্যারাসিটামল’। মালিকপক্ষ মজুরিসহ দৈনিক প্রাপ্যতার যে হিসাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন তা মানতে রাজি নন শ্রমিকরা। তারা এ গোঁজামিল হিসেবের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।শ্রমিকরা বলেন, ২৩ কেজি পাতা তোলার পর হাজিরার পর একটা ভাউচার বিল হয়। এটার ওপর আমরা যা তুলতে পারি কেজিতে পাঁচ টাকা করে দেয়া হয়।তারা আরও বলেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকরা জনপ্রতি সপ্তাহে সাড়ে ১০ কেজিরও বেশি আটা পাওয়া দাবি করলেও পান আড়াই কেজি। আর শ্রমিকদের জনপ্রতি দৈনিক সাড়ে ৭ টাকা খরচের দাবিও সঠিক নয়। এছাড়া শ্রমিকদের সব রোগের ওষুধ একটাই প্যারাসিটামল।
তবে এ নিয়ে দেশের চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আগামী শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।জানা গেছে, মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত করার পর চা বাগান শ্রমিকদের কাছে চাওয়া-পাওয়ার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ কনফারেন্স করবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের কথা শুনবেন।মালিকপক্ষের দেয়া হিসাবে আরও যেসব অসংগতি রয়েছে, তা নিরূপণ করার দাবি জানিয়েছেন সিলেট ভ্যালি শাখার বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু গোয়ালা।তিনি বলেন, মালিকদের কথা ও কাজের কোনো মিল নেই। মালিকরা যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছেন; আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেসব বাস্তবায়ন করবেন।এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে চা বাগান মালিকপক্ষের বৈঠকের পর শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা ঘোষণা করা হয়। টানা ১৯ দিন পর সিলেট জেলার ২৪টি এবং মৌলভীবাজারের ৯৩টি চা বাগানের শ্রমিকরা তাদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।এরপর দলে দলে কাজে যোগ দেন সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা।