ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা করেছে ।
ঐতিহ্যবাহী কলকাতা বেঙ্গল ক্লাব মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় দুই দেশের বক্তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড, তার পূর্বাপর বিষয় ও দুই দেশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। মৈত্রী সংঘের কার্যকরী সভাপতি শিশির কুমার বাজোরিয়ার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথি এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার ইলিয়াস আন্দলিব সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খায়রুজ্জামান লিটন বঙ্গবন্ধুকে চির অমলিন, চির ভাস্বর বর্ণনা করে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যতো বেশি গভীর হবে, এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা ততো বেশি নিশ্চিত হবে। তাতে দুই দেশই সমানভাবে লাভবান হবে। তিনি দুই দেশের মধ্যেকার এই সম্পর্ক ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।সম্মানিত অতিথি আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আমাদের একজন শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী ঘোর অমানিশা কাটিয়ে তার কালজয়ী নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে। একই সাথে তার অনন্য গতিশীল নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে আত্মমর্যাদা নিয়ে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও বঙ্গবন্ধু কন্যার অসামান্য দক্ষতার কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আজ নতুন এক মাত্রায় উপনীত, উল্লেখ করেন আমিন।উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান ও তার দায়িত্বপালনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। সভাপতি শিশির বাজোরিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কলকাতার মানুষ পরম মমতায় স্মরণ করে। বাংলাদেশের অতিথিদের এই সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।স্থানীয় সুধীজন এবং কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।