ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিস্তৃত এক সংঘাতের শঙ্কা জাগিয়েছে।সংঘাত তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার এটি ৫ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তালিকা অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। এ ওপেক তেল উৎপাদনকারী কার্টেলের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্য। এটি ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম সদস্য।
ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, এ অঞ্চলে কোনো সামরিক উত্তেজনার সৃষ্টি হলে তা হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচলে প্রভাব ফেলতে পারে।
ওমান ও ইরানের মধ্যে অবস্থিত জাহাজ চলাচলের পথটি বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের প্রধান পথ। বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের ২০ শতাংশ এ পথেই হয়।
ওপেকভুক্ত দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাক এ প্রণালী ধরে তেল রপ্তানি করে।
লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। মঙ্গলবার তেল আবিবের উদ্দেশে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল।
এরপর লেবাননে স্থল আক্রমণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরান। ইসরায়েল আবার এ হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।